শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০১ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমার জান্তার সঙ্গে একটি সাময়িক অস্ত্রবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে দেশটির বিদ্রোহীদের একটি জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। চীনের মধ্যস্থতায় দুই দিনব্যাপী আলোচনায় এই সম্মতি এসেছে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) মিয়ানমার জান্তার মুখপাত্র, একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জান্তা মুখপাত্র ঝাও মিন তুন সাংবাদিকদের বলেছেন, অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে শক্তিশালী ও আরও আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে। মিয়ানমার ও চীনের সীমান্ত প্রবেশপথ পুনরায় চালু করতে আরও আলোচনায় আমরা অংশ নেব।
২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। গত বছর অক্টোবরের শেষ দিকে জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহীদের একটি জোট সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করে। দেশটির চীন সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলে সংঘাত জোরদার হয়। বিদ্রোহীরা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহর ও ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এতে করে জান্তার নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এই যৌথ অভিযানকে সমর্থন করছে বেসামরিক নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রপন্থিদের বিদ্রোহী সরকার। অভ্যুত্থানের পর এটি জান্তার বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বিদ্রোহীদের জোটে থাকা টিএনএলএ নামের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা বলেছেন, থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স ও সেনাবাহিনী একটি অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ১০-১১ জানুয়ারি চীনা শহর কুনমিংয়ে শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উভয় পক্ষ অবিলম্বে অস্ত্র বিরতি ও সংঘাত বন্ধে রাজি হয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, উভয় পক্ষ চীন সীমান্তের বাসিন্দাদের ক্ষতি না করতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এর আগে গত মাসে বেইজিং বলেছিল, মিয়ানমারের দুই পক্ষ সাময়িক বিরতিতে সম্মত হয়েছে সংলাপ অব্যাহত রাখার জন্য। কিন্তু উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্য ও অন্যান্য অঞ্চলে লড়াই অব্যাহত ছিল। গত সপ্তাহে চীন সীমান্তে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক শহর লাউক্কাই দখল করে বিদ্রোহীরা।
জাতিসংঘের মতে, চলমান সহিংসতায় তিন লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এই সহিংসতায় মিয়ানমারের পুলিশ ও সেনা সদস্যরা বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।
থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অপর দুটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হলো মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) ও আরাকান আর্মি।
ভয়েস/আআ